দুবাই বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি উড়তে পারেনি ঢাকার পথে। প্রায় ১২ ঘণ্টা হলেও যাত্রীদের জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করেনি বিমান। ফ্লাইটের বিষয়ে কোনো আপডেট না দিয়ে উল্টো বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাদের।
এ ঘটনায় দুবাই এয়ারপোর্টে বিক্ষোভ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা। যাত্রীদের অধিকাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক। অনেকেরই ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার কানেক্টিং টিকিট কাটা ছিল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, বিমানের বিজি-৩৪৮ নম্বর ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফটটিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইটটি ছাড়তে পারেনি। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে বসে থাকতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রবাসী আউয়াল হোসেন জানান, আমরা ফ্লাইটের ৫ ঘণ্টা আগ থেকে বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। রাতভর বিমানবন্দরে থাকার পরেও কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। কোনও খাবার বা হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়নি। কেউই কিছু জানাতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, আমার মতো অনেক যাত্রীর ঢাকা থেকে সিলেট, যশোর, সৈয়দপুরের কানেক্টিং ফ্লাইটের টিকিট কাটা। বিমানের কোনও আপডেট না জানার কারণে তাদেরও কিছু বলতে পারছি না।
বিমানের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ফ্লাইটটি মেরামতে বাংলাদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে। মেরামত হলেই নতুন শিডিউল অনুযায়ী তাদের নিয়ে আসা হবে।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, গতকাল (শনিবার) দুবাই স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫মিনিটে দুবাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড়ার কথা ছিলো বিজি-৩৪৮ ফ্লাইটটির। কিন্তু, বোর্ডিং করার পর টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে ফ্লাইটটি ছেড়ে আসতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, দুবাইয়ের ইঞ্জিনিয়াররা বিমান মেরামতের কাজ করছে। দেশ থেকে পার্টস পাঠানো হয়েছে, দুবাইয়ের পথে রয়েছে। মেরামত হলেই নতুন শিডিউল অনুযায়ী তাদের নিয়ে আসা হবে। আপাতত বিমানের ২৬৮ জন যাত্রী লাউঞ্জে অপেক্ষা করছেন। তাদের সকালের নাস্তা এবং দুপুরে খাবার দেওয়া হয়েছে।
সিট না পাওয়ার যাত্রীদের এখনো হোটেলে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলেও জানান বিমানের এ কর্মকর্তা।