জাতীয়

জোর করে ১০ ছাত্রীকে ম’লমূ’ত্র খাইয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে শিক্ষক!

Is Jennifer Aniston currently in a relationship?

বরগুনায় ১০ ছাত্রীকে মলমূত্র খাইয়ে মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকের মেয়ের ছবি তোলায় বিচারের নামে এ শাস্তি দেওয়া হয়।

শনিবার (৩ জুন) রাতে বরগুনার আমতলী পৌর শহরের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছর হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ সংবাদে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, মোবাইল ফোন দিয়ে আমতলী পৌর শহরের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদেনা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসাশিক্ষক

মোসা. তাসলিমা বেগমের মেয়ের ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয় ভুক্তভোগী ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। এজন্য ওই ছাত্রীদের বিচারের নামে জোর করে ১০ ছাত্রীকে মলমূত্র খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শিক্ষক মোসা. তাসলিমা বেগম, তার স্বামী ও একই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ এবং ছেলে মো. তাইয়েবের বিরুদ্ধে। এতে তিন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘বিচারের নামে মাদ্রাসার শিক্ষক মোসা. তাসলিমা বেগম এবং মো. আব্দুর রশিদ আদিম যুগের নির্মমতাকেও হার মানিয়েছে। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যারা মলমূত্র খাওয়াতে পারে, তারা কখনোই শিক্ষক হতে পারেন না। তারা পশুর থেকেও অধম। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রশিদ ১০ ছাত্রীকে মলমূত্র খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে মোবাইলে আমার (আব্দুর রশিদের) মেয়ের ছবি তোলায় শনিবার তাদের বিচার করেছি এবং মাদ্রাসা থেকে নাম কেটে তাড়িয়ে দিয়েছি।’ এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘নোংরা ওই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker