আন্তর্জাতিক

গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করায় ১০০ ব্যক্তির ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা

Is Jennifer Aniston currently in a relationship?

নাগরিকদের মানবাধিকার ভূলণ্ঠিত করা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ১০০ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুশীল সমাজের সংস্থাগুলোকে দমন করা, নাগরিক পরিসর বন্ধ এবং অন্যায়ভাবে সরকারের সমালোচকদের আটকের প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন কর্মকর্তারা। সমালোচকদের মধ্যে সরকারের তীব্র সমালোচক বিশপ রোলান্ডো আলভারেজও রয়েছেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সরকার একাধিক ক্যাথলিক রেডিও স্টেশন বন্ধ করে দিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলায় গ্রেপ্তার তালিকার মধ্যে বেশ কয়েকজন পুরোহিত রয়েছেন। এর মধ্যে আলভারেজ অন্যতম।

সরকারের কাজ অবমূল্যায়ন, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও সরকারি কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে আলভারেজকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাকে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। দ্য হিলের প্রতিবেদনে জানা গেছে, তার নাগরিকত্বও কেড়ে নিয়েছে দেশটির সরকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনিও গুতেরেস টুইটারে বলেছেন, আমরা দেশটির শাসককে নিঃশর্ত ও অবিলম্বে বিশপ আলভারেজ এবং অন্যায়ভাবে আটক বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
দ্য হিলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ড্যানিয়েল ওর্তেগা টানা চতুর্থ মেয়াদে বিজয়ী হওয়ার আগে কয়েকজন বিরোধী দলীয় ব্যক্তিকে কারাগারে ঠেলে দেয়া হয়। ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল। বিরোধীদের মধ্যে কেউ কেউ বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। গত ১৯ জুলাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে মধ্য আমেরিকার চারটি দেশের ৩৯ জনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মধ্যে নিকারাগুয়ারও ১৩ জন ছিলেন। এছাড়া বাকিরা হলেন গুয়াতেমালার ১০ জন, হন্ডুরাসের ১০ জন এবং এল সালভাদরের ছয়জন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা চিহ্নিত বিদেশি এই ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাপ্রাপ্তিতে ও দেশটিতে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ইতিমধ্যে তাদের নামে কোনও ভিসা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার ও অন্য কোনও বৈধ ভিসা বা প্রবেশের নথিপত্রও বাতিল করা হবে।

আরো পুড়ুনঃ  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker