খালেদা জিয়া শর্ত মেনে কোথাও যাবেন না

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বেগম জিয়া। শর্ত মেনে কোথাও যাবেন না তিনি। তাকে বিদেশে চিকিৎসরা জন্য পাঠাতে বিচার বিভাগের প্রয়োজন নেই। ক্যান্টমেন্ট বোর্ডের প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই সিদ্ধান্ত। বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির এবং এক দফা দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করে, তারা এ সরকারকে আর বিশ্বাস করে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত ধ্বংস করেছে সরকার। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দিল্লি আছে আমরাও আছি। আমার প্রশ্ন তার কাছে, দিল্লি কী বলেছে? দরকার নাই নির্বাচনের? দিল্লি কী বলেছে, বাংলাদেশে জোর করে ইলেকশনের ঘোষণা দাও? তাহলে পরিষ্কার করে বলুন সেটা।

চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দুই বছর ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছি। ২২ জনের প্রাণ গেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মানে এই না যে, কেউ আঘাত করলে তার প্রত্যাঘাত করব না। এবার দেশে-বিদেশে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে- তারা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আইন ত্রয়োদশ সংশোধনী এখনো বিদ্যমান আছে। ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছে। সবাই যখন তত্ত্বাবধায়ক রাখতে বলেছে, শুধু শেখ হাসিনা একা তা পরিবর্তন করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। এর বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না। পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা গঠন করার ব্যবস্থা নিন। তারপরই শুধু নির্বাচনের প্রশ্ন আসবে। তার আগে নয়। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও পেশাজীবী নেতারা।

সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টিও (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, অ্যাডভাকেট কামরুল ইসলাম সজল ও শামীমুর রহমান শামীম।