জাতীয়: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সুভাষ কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘রোববার বিকেল ৫টার দিকে আদালত থেকে তাঁদের জামিনের কাগজপত্র আসে, এরপর তাঁদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা ৪ মিনিটের দিকে তাঁরা মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে যান।’
১০ অক্টোবর বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদের একক বেঞ্চ তাঁদের জামিন দেন। এর আগে সাজার বিরুদ্ধে আদিলুর ও এলান আপিল করেন।
আদিলুর ও এলানের কারাদণ্ডের রায় বাতিল চেয়ে ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাসআদিলুর ও এলানের কারাদণ্ডের রায় বাতিল চেয়ে ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
এর আগে মতিঝিলে হেফাজেত ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির দায়ে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র এবং সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়।
রায়ের পর তাঁদের বিরুদ্ধে দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে উত্থাপিত প্রস্তাব পাস হয়। অধিকারের দুই নেতা আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের কারাদণ্ডের নিন্দা জানিয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের রায় বাতিল করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইইউ এমপিরা।
অধিকারের আদিলুর ও এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট অধিকারের আদিলুর ও এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশস্থল থেকে রাত্রিযাপনের ঘোষণা দেওয়া হলে তাদের সরিয়ে দিতে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তখন হেফাজতে ইসলামের ৬১ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি ও প্রচার করে অধিকার।
আরও পড়ুন: সপরিবারে মদ খেয়ে ঘুমানোর পর ২ তরুণীর মৃত্যু, দুজন হাসপাতালে
এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। ওই ডায়েরি পরে মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়।