সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গাড়ীর অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক আইন মান্যকরা,ফিটনেস পরীক্ষা,ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাইসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে পরিমাপকযন্ত্র বা স্পীড গানের ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত গতির যানবাহনগুলোকে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন পুলিশ। সম্প্রতি দেখা যায় পটুয়াখালী শহরের ট্রাফিকপুলিশ কাজল এবং তার টিম মহাসড়কে গাড়ির গতিসীমা স্পীড গানেরের সাহায্য পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময় তিনি জানান, বাংলাদেশের যে কোন শহরে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার এবং ৩০ কিলোমিটারে বেশি কোন ধরনের যানবাহন চলতে পারবে না, কারণ এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন আছে। হেলমেট এবং ডাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে পটুয়াখালীতে জরিমানা করেন ট্রাফিকপুলিশ।
এই সময় কাগজ বিহীন পুলিশের গাড়িও রক্ষা করলেন না ট্রফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ দেখে অনেকে বেঁকে চলে যায় অন্য রাস্তায় এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ কাজল জানিয়েছেন, তারা জানে যে এখানে স্পীডের উপরে কাজ কর হয়। আসলে এটাই একটা সচেতনতার সফলতা। যারা আইন অমান্য করে তারা আমাদের দেখে ঘুরে অন্য রাস্তায় যায় এতে অনেকের জীবনে ঝুঁকি আসে। আইন মানলে ঘর থেকেই মানা উচিৎ। উল্লেখ্য স্পিড গান হচ্ছে যানবাহনের গতি পরিমাপক যন্ত্র। মহাসড়কে কোন যানবাহন কতো গতিতে চলছে,তা স্পিড গান যন্ত্র দিয়ে জানতে পারে পুলিশ।দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে যানবাহনের অতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকিং। দুর্ঘটনা রোধে নিয়মিত স্পিড ডিটেক্টর ডিজিটাল মেশিন দ্বারা অভিযান পরিচালনা করছেন। যে সব চালক নির্দিষ্ট গতির চেয়ে অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। এই মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল বাড়ানোসহ স্পিড ডেটেক্টর মেশিন দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে দুর্ঘটনা অনেকটা রোধ করা সম্ভব হবে।