ইসরায়েলের কাছাকাছি বিমানবাহী রণতরীর স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য মার্কিন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।তিনি বলেন, মার্কিন রণতরী গাজায় ‘গুরুতর গণহত্যা’ ঘটাবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আঙ্কারায় অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর কার্ল নেহাম্মেরের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ সমালোচনা করেন এরদোগান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, গত শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পরের দিন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানান, ইসরায়েলের কাছাকাছি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড।
পরিপ্রেক্ষিতে এরদোগান বলেন, ইসরায়েলে মার্কিন রণতরী কী করতে আসছে? সেটি গাজায় বিধ্বংসী হামলা চালাবে। আর সেখানে গণহত্যা শুরু হবে-তাই তো?
গাজা অবরোধের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। এটা নিশ্চয়ই ইসরায়েলের জানার কথা।
এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত প্রশমনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে তুরস্ক। এজন্য প্রস্তুত আমরা।
অতীতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করেছে তুরস্ক। হামাসের সদস্যদের আতিথ্য দিয়েছে দেশটি। সেই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করেছে তারা।
ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। তবে এখন সেই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসছে দেশটি। ইসরায়েলিদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে তারা। ঠিক সেই সময়েই সেখানে হামলা চালালো হামাস।