আসামি থেকে স্বামী, হাতকড়া লাগিয়ে বিয়ের আসরে এলেন বর

মেহেদী নয়, হাতে হাতক’ড়া বরের। তাও আবার আ’দালতের বারান্দায়। যাচ্ছেন বিয়ের আসরে। বর-কনে দুজনই আছেন নেই শুধু সানাই আর সাজসজ্জা।
এ এক অন্যরকম বিয়ে। হাতকড়া হাতে বিয়ের আসরে বর। যিনি ছিলেন আসা’মি, তিনিই হলেন স্বামী। ভালোবেসে দুজনই বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তা রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে বৈ’ধ ছিল না।
তারপরও চলছিল সংসার। ঘর আলো করে তাদের সংসারে আসে ছোট্ট ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুজনের মাঝে বাড়তে থাকে ম’নোমালি’ন্য। বাড়ে দুরত্ব। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে অ’স্বীকার করে স্বামী সাগর। পরে আদালতের শরনা’পন্ন হন স্ত্রী শারমিন। গ্রে’প্তার করা হয় সাগরকে।
দুজনের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় পুনরায় বৈ’ধভাবে বিয়ে হবে আদালতে। কিন্তু এখানেও ঝামেলা বা’ধে কাবিনের টাকা নিয়ে। এক পর্যায়ে চলতে থাকে দেন দরবার। পরে সাড়ে চার লাখ টাকা দেনমোহরে দুজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়। সন্তানের পরিচয় ও নিজের সংসার ফিরে পাওয়ায় খুশি শারমিন।
ভবিষ্যতে যেন আর আ’দালতে না আসতে হয় সেই আশা জানান তিনি। অতীত ভুলে সাগরও চান স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করতে। মাম’লার পুরো বিষয় নিয়ে সন্তো’ষ প্রকাশ করেন বা’দী প’ক্ষের আইনজীবী মো. আনোয়ার শাহাদাত চৌধুরী। বিয়ে শেষে নব দম্পতি ও তাদের সন্তানের ম’ঙ্গল কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।