আলোচনায় থাকতেই নায়িকা শিরিন শিলার সেই চুমু কান্ড

অনেক সময়ই ভক্তদের আবদার পূরণ করার চেষ্টা করেন সব অভিনয়শিল্পীরাই। কখনও আবার তা পূরণ করে আলোচিত-সমালোচিতও হন অনেকে। তবে এবার সরল মনে ভক্তের সঙ্গে কথা বলেতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চিত্রনায়িকাকে চুমু খেলেন ভক্ত!‘দ্য রাইটার’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে এই অভিনয় শিল্পীকে।
সোমবার (২২ মে) ঢাকার ধামরাইয়ে থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমার শুটিং চলছিল। শুটিং সেটেই এমন বিব্রতকর ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজেই ভিডিওটি পোস্ট করেন। এরপর থেকেই তা ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বেশ আলোচোনায় চলে আসেন নায়িকা শিরিন শিলা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে জানান, সকালে আমার নতুন সিনেমা ‘দ্য রাইটারের’ আউটডোর শুটিং করতে আমরা ধামরাইয়ের একটি এলাকায় যাই। এ সময় স্পটে উপস্থিত একটি ছেলে আমাকে দেখে এগিয়ে এসে কথা বলতে চায়।
পরে আমিও তাকে কাছে টেনে কথা বলতে শুরু করি। ওই সময় ছেলেটি আবেগী কণ্ঠে আমাকে বলে- তার নাকি বাবা-মা কেউ নেই, তাকে কেউ ভালোবাসে না। এই কথা শুনে তার প্রতি মায়া জন্মে যায়, তাই আমি তার কাঁধে হাত রেখে আদর করি। এ সময় সে বলে তার খিদে পেয়েছে, তখন আমি তাকে খাওয়ার জন্য কিছু টাকাও দেই। তখনই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমিও ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি। তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরে আমি তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসতে চাইলে সে আবার আমাকে বলে- সে নাকি কখনও গাড়িতে চড়েনি, তাই আজকে আমার সঙ্গে গাড়িতে উঠবে। এই বলেই সে আমাকে আবারও জড়িয়ে ধরে আচমকা আমার গালে চুমু খেয়ে বসে। আচমকা এমন কাণ্ডে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। পরে সেখানে থাকা শুটিংয়ের লোকজন ছেলেটিকে সরিয়ে দিলে আমি গাড়িতে উঠে ফিরে আসি।
বুধবার সকালে শুটিং সেটে সেই ছেলের ধরে নিয়ে আসা হয়। তখন ছেলেটি শিরিন শিলার পা ধরে মাফ চাইছে। শুটিং ইউনিটের কেউ কেউ তাকে পুলিশে দেওয়ার কথাও বলছিলেন।শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টি ফের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে এই নায়িকা।
নায়িকার এমন কর্মকান্ডে অনেকেই ভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। ফেসবুক ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, ছেলেটার দুষে শিরিন শীলা বিব্রত ? ছেলেটা কি ভিডিও পোস্ট করছিলো? নিজেই নিজের আইডিতে পোস্ট করে ভাইরাল হয়ে এখন নিজেই নাকি বিব্রত ।
ছেলেটা ভুল করলে তৎকানাত শাস্তি দিতো? ভিডিও এটা আপলোড হলো কেন? আমি মনে করি অতি উৎসাহী এই নায়িকা ভিডিও আপলোড করে ছেলে ও তার পরিবারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। ছেলের পরিবার কি মানহানীর মাম’লা করতে পারবে না? অবশ্যই পারবেন৷ কোনো আইনজীবীর উচিত ছেলের পক্ষে হয়ে মা’মলা করা৷
এইদিকে সাংবাদিক মহলের একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ছেলেটা আপনাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে গেল। সেটা ভিডিও করলেন। পরে আরাম করে কয়টা ভিউ পাওয়ার জন্য ফেসবুকে ছাড়লেন। তখন মনে হয়নি, ওই ভারসাম্যহীন ছেলেটা আপনার সাথে অশালীন কাজ করেতে গিয়েছিল।
পরে যখন ভিডিওটা ভাইরাল হলো, তখন আপনাকে আরও ভিউয়ের নেশা পেয়ে বসল। ছেলেটাকে ডেকে পাঠালেন। শুটিং ইউনিটের ছেলেদের দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ক্ষমা চাইয়ে সেটা আবার ফেসবুকে ছাড়লেন। বাহ, হাততালি! মানলাম, ছেলেটা আপনার সাথে অসভ্যতা করতে গিয়েছিল।
শুরুতে কেন আপনার মনে হয়নি? আর যখন মনে হলো, তখন কেন আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন! আপনাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা উচিত। আর শোনেন, শুটিং দেখলেই মানুষ ভিড় করে। চিনুক বা না চিনুক, নায়িকা শুনলে আশেপাশে ভিড় জমায়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এটা শতভাগ নিশ্চিত যে, আপনাকে কেউ চেনে না। তাই শুধু নায়িকা ভাব না দেখিয়ে কাজটা করেন। অভিনয় যা করেন, তা তো পাতে নেওয়া যায় না!