দেশজুড়ে

‘আরোহীদের মৃ’ত্যু মিলিসেকেন্ডে এবং বেদনাহীন হয়ে থাকতে পারে’

Is Jennifer Aniston currently in a relationship?

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাবেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, টাইটান ও এর পাঁচ আরোহীর মর্মান্তিক ও চূড়ান্ত পরিণতির আগের মুহুর্তে যা ঘটে থাকতে পারে যানটিতে। সমুদ্রের নীচের চিকিৎসা, ওষুধ এবং বিকিরণ স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. ডেল মোলে মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক পরিচালক।

তিনি সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, আরোহীদের মৃত্যু দ্রুত এবং বেদনাহীন হয়ে থাকতে পারে। সমুদ্রের গভীরে অবিশ্বাস্য ও ভয়াবহ চাপের আঘাতে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছিল।

মোলে বলেছেন: `দুর্ঘটনাটি এতই আকস্মিক হয়ে থাকতে পারে যে আরোহীদের কেউই তা কয়েক মুহূর্ত আগেও বুঝে উঠতে পারেননি যে কী ভয়ংকর পরিণতি ঘটতে যাচ্ছে তাদের ভাগ্যে।

‘এটা হয়তো এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে ঘটেছিল। তারপর টাইটানের সুইচটি বন্ধ হয়ে যায়। হয়তো তারা এক মিলিসেকেন্ড বেঁচে ছিলেন এবং পরের মিলিসেকেন্ডে তাদের নির্মম মৃত্যু হয়।`

স্থানীয় সময় বুধবার (২২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে মার্কিন কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, একটি বিপর্যয়কর ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টাইটান। সমুদ্রের তলদেশে ভয়াবহ চাপের সঙ্গে ডুবোযানের গতির সংঘর্ষে অবিশ্বাস্যভাবে এমন বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।

এর আগে, আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ ডুবোযান টাইটানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায় এবং যানটিতে যারা আরোহী ছিলেন তাদের সবাইকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ডুবোযানটিতে বিস্ফোরণের কারণে সবার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।

সমুদ্র পর্যটনে এই সাবমেরিন পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। এতে তারা জানায়, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের আশপাশে আরও ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। সেগুলোর মধ্যে টাইটান সাবমেরিনের বড় পাঁচটি টুকরার সন্ধান পাওয়া গেছে। সাবমেরিনটি বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কখন সেটি বিস্ফোরিত হয়েছে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে সাবমেরিনের পাঁচ আরোহীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। আরোহীদের মরদেহ উদ্ধার করা যাবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।

গত রোববার (১৮ জুন) সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রে ডুব দেয় স্পিডবোট আকারের ছোট ডুবোযানটি। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই এটির সঙ্গে উপরে থাকা জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

সাবমেরিনের আরোহীরা ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং (৫৮), পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮) এবং তাঁর ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য পল অঁরি নাজোলে এবং ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ। তাঁদের মধ্যে হামিশ হার্ডিং অভিযাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি মহাকাশ ভ্রমণের পাশাপাশি কয়েক দফায় দক্ষিণ মেরু ঘুরে এসেছেন। পাকিস্তানের অন্যতম ধনী পরিবারের সদস্য শাহজাদা দাউদ যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন। তাঁর ছেলে সুলেমান ছিলেন শিক্ষার্থী। পল অঁরি নাজোলে ছিলেন টাইটানিক বিশেষজ্ঞ। এর আগেও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়েছিলেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker