দেশজুড়ে

আঁখির মৃত্যুর কারণ নিয়ে যা জানাল ল্যাবএইড

Is Jennifer Aniston currently in a relationship?

রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডেলিভারির সময় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর পর মা মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা গেছেন।

রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণ ছাড়াও সঠিক কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ (রোববার) বিকেল সাড়ে ৪টায় আঁখির মৃত্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের-এ-খোদা দীপ। তবে সেখানে আঁখির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেলে বোর্ডের ৬ সদস্যের কেউই ছিলেন না। এমনকি ছিলেন না কোনো চিকিৎসকও।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তার কাছে আঁখির সর্বশেষ চিকিৎসা ও মৃত্যুর কারণ জানতে চান। এ সময় জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের-ই-খোদা বলেন, প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণে আঁখির মৃত্যু হয়েছে। এরকমটা স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে।

তিনি জানান, গত ১০ জুন বিকেল ৩টা ৩৯ মিনিটে মাহবুবা রহমান আঁখিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে অচেতন অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন এবং তার প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণ ও হার্ট-অ্যাটাক হয়েছিল।

আরো পুড়ুনঃ  এবার বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ল্যাবএইডের এ কর্মকর্তা বলেন, ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছিল। রোগীর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান অব্যাহত ছিল।

তিনি আরও জানান, রোগীর ইউরিন আউটপুট বন্ধ থাকায় ডায়ালাইসিস প্রদান করা হচ্ছিল। সকল প্রকার প্রচেষ্টার পরও রোগীর কোনো প্রকার উন্নতি পরিলক্ষিত হয়নি। আজ দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে, সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সংযুক্তা সাহার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নরমাল ডেলিভারির তথ্য পেয়ে গত ৯ জুন কুমিল্লা থেকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসেন আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে ওই নারীর ডেলিভারি করতে যান ডা. মিলি।

আরো পুড়ুনঃ  কিডনি নষ্টের কথা বলে বিকাশে টাকা নিয়েছিলেন নুর

এ সময় ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করা হয়। এতে বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।

পরবর্তীতে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তির পর সেখানে আঁখিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। তবে তার কোনো ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। চিকিৎসকরাও জানিয়েছিলেন, আঁখির ইমপ্রুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। তার শরীরের কিডনি, লিভার, হার্ট এবং অন্য কোনো অংশ কাজ করছিল না। এরমধ্যে ব্রেন স্ট্রোকও করেন আঁখি, সেই সঙ্গে রক্তক্ষরণও বন্ধ হচ্ছিল না তার। ফলে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ার কারণে শরীরের অন্য অংশগুলো কাজ করতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছিল। এতে হাসপাতালে ভর্তির পুরো সময় তাকে রক্ত দিতে হয় এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিশ্বাস চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত রক্ত দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

আরো পুড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ঢাকার সমাবেশ ও গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ

গত বুধবার (১৪ জুন) এজাহারনামীয় দুই আসামি ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার সেন্ট্রাল হাসপাতালে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযানে হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ঘাটতি দেখতে পান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জরুরি চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় আইসিইউসহ প্রতিষ্ঠানটিতে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধের নির্দেশ দেয় অধিদপ্তর। পাশাপাশি ডা. সংযুক্তা সাহাকে ওই প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ সেবা দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker