আন্তর্জাতিক বাজারে গত কিছুদিন ধরেই সয়াবিনের দাম বাড়ছিল। একপর্যায়ে তা গত ১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল। অবশেষে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) তেলবীজটির দর কমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে খরার কারণে নদীপথে শস্যের চালান ব্যাহত হতে পারে। সেই সঙ্গে সয়াবিন রোপণ মন্থর হওয়ার উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ফলে তেলবীজটির মূল্য বৃদ্ধি পায়। এতে ব্যবসায়ীরা মুনাফা অর্জন করেন।
অবশেষে সেই আশঙ্কা কিছুটা দূর হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের আরেক বৃহৎ রপ্তানিকারক যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। ফলে তেলবীজটির দরপতন ঘটেছে।নেপথ্যে কারিগরি কারণও রয়েছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে সিবিওটিতে সয়াবিনের সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১১ সেন্ট। প্রতি বুশেলের দাম স্থির হয়েছে ১৩ ডলার ০৪ সেন্টে।
সিঙ্গাপুর ভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্রাজিলের তীব্র খরায় নদীর পানি স্তরে নিচে নেমে গেছে। ফলে সয়াবিনের চালান ব্যাহত হতে পারে বলে শঙ্কা জেগেছিল। অবশেষে সেটা কিছুটা কমেছে। এখন দেশটির রোপণ উপযোগী আবহাওয়ার দিকে নজর রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
গত সোমবার প্রকাশিত শিল্প তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী সেপ্টেম্বরে মার্কিন মুলুকে রেকর্ড সয়াবিন চূর্ণ হয়েছে। তবে মাসিক ভিত্তিতে বিগত ৯ বছরের মধ্যে মজুত হ্রাস পেয়েছে।
তাতে স্পষ্ট হয়, দেশটিতে তেলবীজটির চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। স্বভাবতই সেখান থেকে বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ বাড়ার কথা নয়। ফলে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। কিন্তু সেই আশঙ্কাও সামান্য কমেছে।