অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সময় চলে আসে ভুয়া পুলিশ-সাংবাদিক, তারপর ব্ল্যাকমেইল

ভুয়া পুলিশ আর সাংবাদিক মিলে তৈরি করেছে চক্র। সেই চক্রে ভিড়িয়েছে উঠতি বয়সী তরুণীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব তরুণী বন্ধুত্ব করে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে। কৌশলে বাসায় ডেকে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা। দুই তরুণীসহ এমনই একটি চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। পুলিশ বলছে, লোকলজ্জার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী মুখ খুলতে রাজি নন। চক্রটি প্রথমে একজন ব্যক্তিকে টার্গেট করে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় সখ্য।
এরপর ধীরে ধীরে অন্তরঙ্গতা। এরপর একান্তে সময় কাটানোর কথা বলা হলে ভুক্তভোগীই কোনো নিরাপদ জায়গা তৈরি করে। এরপর তরুণীর কথামতো ঢাকার বাইরে নিরাপদ কোনো আশ্রয়ে আসতে বলা হয় ভিকটিমকে। ভিকটিম যখন ওই তরুণীর সঙ্গে সময় কাটাতে নির্দিষ্ট ঠিকানায় যান তখন সেখানে কথা বলার এক পর্যায়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই দরজা খুলে ঢুকে পড়ে কিছু পুলিশ ও সাংবাদিক। ওই অবস্থ্যায় তারা ভিডিও করতে থাকে। বাধ্য হয়ে ভিকটিমকে তাদের টাকা দেন। এরপর চলতেই থাকে ব্ল্যাকমেইল। সাংবাদিক আর পুলিশ তাদের নিজেদের সাজানো। পুরো পরিকল্পনা করে এমন ঘটনা বা মধুচক্রের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে ধনাঢ্যদের। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী নিশ্চিত করে এই চক্রের কার্য পদ্ধতির বিবরণ দেন।তিনি বলেন, পুরো ফাঁদে ফেলে ভিকটিমকে তারা একেবারে নিঃশেষ করে দেয়।